About Us

আমাদের ইতিকথা:

ইয়ুথ টেলিভিশনরে পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ইয়ুথ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এর একটি সহযোগী প্রতষ্ঠিান “ইয়ুথ টেলিভিশন” বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল টেলিভিশন হিসেবে ২৭শে অক্টোবর ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা ডিজিটাল বিশ্বে আমাদের এই প্রয়াস সময় উপযোগী বলে বিশ্বাস করি।

বাংলা ও বাঙ্গালীর ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দর্শকদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সুপার পিক টাইমে আমরা নিয়মিতভাবে জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা সম্প্রচার করে আসছি। যা দর্শক জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি আমরা বস্তুনিষ্ঠ তথ্য, বিনোদন ও জনসচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছি। আমাদের অনুষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম ওয়েব সাইটসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পেইজের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে পৌছে দিচ্ছি। এছাড়া এনালগ মাধ্যমেও আমাদের এই কার্যক্রম প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে। গণমাধ্যম হিসেবে আমাদের এই পথচলায়, আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আপনাদের সাথে নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে অবদান রাখতে এবং আমাদের লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবো। ইয়ুথ টেলিভিশন একটি পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন হিসেবে “তারুণ্যের বাংলাদেশ“ স্লোগানের সাথে ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করে। তথ্য বিশ্লেষণ ও বিনোদন মূলক বৈচিত্র্যপূর্ণ অনুষ্ঠান নিয়ে আমরা ছিলাম আপনাদের পাশে। আমাদের লক্ষ্য সারা দেশের দর্শকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য এবং মতামত প্রদান করা। ইয়ুথ টেলিভিশন প্রতিটি জেলার জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের উপর বিশেষ জোর দেয়। এটি রাজনীতি, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক, ক্রীড়া, বিনোদন, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তি, বৈশিষ্ট্য, জীবনধারা এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিভাগ সমানভাবে কভার করে আসছি।

আমরা আলাদা এবং অনন্য কারণ ইয়ুথ টেলিভিশন মাল্টিমিডিয়া অনুশীলন করে, যা দর্শ্কদের অডিও, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক এবং ওয়েব স্টোরি সহ দেশ-বিদেশের তথ্য ও প্রতিবেদন সরবরাহ করে সব সময় এবং সবার আগে একদল তরুণ, উদ্যমী এবং অভিজ্ঞ প্রতিবেদক দ্বারা চালিত, ইয়ুথ টেলিভিশন তার দর্শ্কদের সবচেয়ে জটিল বিষয়গুলি সহজে বুঝতে সাহায্য করার জন্য তথ্য ও প্রতিবেদন ও গল্প বলার ধরণকে অগ্রাধিকার দেয়। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ইয়ুথ টেলিভিশন বাংলাদেশে দ্রুত যাত্রা শুরু করেছে তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছাতে। ইয়ুথ টেলিভিশনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, তার দর্শ্কদের জন্য সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে সবচেয়ে আপডেট তথ্য প্রদান করা। দ্রুত তথ্য প্রদানের এই যাত্রায় ইয়ুথ টেলিভিশন সর্বদা নির্ভুল, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হওয়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের সংবিধানের  মৌলিক নীতি অনুসরণ করে। ইয়ুথ টেলিভিশন দেশের মৌলিক মূল্যবোধ বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ছাড়া দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলে ইয়ুথ টেলিভিশন।

জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭ (সংশোধীত ২০২০) এর ১.২ অনুযায়ী ইয়ুথ টেলিভিশন এর সরকার নির্ধারিত লক্ষ্য ও উদ্দশ্যে:

২.১.১ সকল অনলাইন গণমাধ্যমকে কমিশনের কাছে নিবন্ধিত হতে হবে; তবে কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো সংযুক্ত সংস্থা নিবন্ধনের দায়িত্ব পালন করবে;

১.২.২ জনস্বার্থ, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আদর্শ ও চেতনা, সামাজিক মূল্যবোধ এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে যাতে অনলাইন গণ্যমাধ্যম সেবাদানকারী কর্তৃক তথ্য ও উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচার করা হয় তা নিশ্চিতকরণ;

১.২.৩ অনলাইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নীতি ও মানদন্ড অনুসরণ, গণতন্ত্রের বিকাশ, বহুত্ববাদ ও বৈচিত্র্য সমুন্নত রাখা, সঠিকতা, নিরপেক্ষতা ও গণমুখীনতা বজায় রাখা এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা;

১.২.৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত ব্যক্তির মৌলিক অধিকার, বাক্-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সম্মান সমুন্নত রেখে গণমাধ্যমসমূহের স্বাধীনতা এবং সচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা;

১.২.৫ অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে সহায়তা এবং এর মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা;

১.২.৬ অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় উন্মক্ত ও সুষম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি, আরো গতিশীল ও দক্ষ করে গড়ে তোলা;

১.২.৭ অনলাইন গণমাধ্যমের সহায়তায় বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান, রপ্তানি বৃদ্ধি, সরকারি সেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা;

১.২.৮ সকল অন্যায় ও বৈষম্য নিরসন করে ন্যায় ও সমতার নীতি প্রতিষ্ঠায় অনলাইন গণ্যমাধ্যমের সুদৃঢ় ভূমিকা নিশ্চিত করা;

১.২.৯ অনলাইন গণমাধ্যম সেবা প্রদানকারীদের নিবন্ধন প্রদান, পর্যবেক্ষণ  এবং মান বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা;

১.২.১০ নিবন্ধন প্রদানের মাধ্যমে সকল অনলাইন গণমাধ্যকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় আনায়ন করা;

১.২.১১ বাংলাদেশের শিশু, নারী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা নিশ্চিতকরণ;

১.২.১২ সমাজে নৈতিক অবক্ষয় রোধ ও সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা;

১.২.১৩ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা;

১.২.১৪ অশ্লীল এবং সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থি কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, প্রচার বা সম্প্রচার না করা এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে উৎসাহ প্রদান করা;

১.২.১৫ সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল ও প্রতিরোধে সহায়তা করা;